গুলশান, ঢাকা
বিকেল চারটায় আমি শাহবাগে থাকবো। চিৎকার করে বিচার চাইবো তনু হত্যার। কিন্তু কেনো? শুধু তনুই কি পিশাচের পৈশাচিক লোভের প্রথম ও একমাত্র শিকার? আমি কেনো শুধু তনু হত্যার বিচার চাইবো?
আমি চাইবো আসলে বিচারহীনতার ধ্বংস। এই অসভ্য সংস্কৃতিই আমাদের প্রতিদিন গিলে খাচ্ছে। আমাদের অনেক অর্থ নেই। আমাদের অনেক প্রভাব-প্রতিপত্তি নেই। আমাদের ঢাকা শহরটা পৃথিবীর নোংড়াতম শহরের একটা। আমরা পৃথিবীর অসুখীতম রাষ্ট্রের তালিকায় উপরের দিকে আছি। কেনো আছি? কারণ আমাদের এখানে বিচারহীনতা আছে। যা মূলত অসভ্যতা। যা সমাজের প্রতিটি স্তরে সৃষ্টি করছে একদল অসভ্যকে।
এতো এতো না থাকা; তারপরও কিন্তু আমাদের সামনে চলা থেমে নেই। আমাদের মাথাপিছু আয় বেড়েছে। আমাদের শিক্ষার হার বেড়েছে। আমাদের স্যানিটেশন ব্যবস্থা অন্য দেশগুলোর জন্য অনুপ্রেরণাদায়ক। ক্রিকেটে আমরা বিশ্বের বড় দলগুলোকে টক্কর দিচ্ছি। এই সব উন্নতির খবর অন্ধকারে পড়ে যায় বিচারহীনতার অসভ্যতায়।
সাগর- রুনি হত্যার বিচারের কী হবে? ইলিয়াস আলির গুমের উত্তর কে দিবে? ওহ, উনি তো রাজনীতি করতেন, তার বিচার চাইছি কেনো! তার চেয়ে বড় কথা তার দল তো ক্ষমতায় নেই। ক্ষমতা না থাকা রাজনীতি করা মানুষরা তো পশু। তারা মরলে, গুম হলে কষ্ট হয় না। তাদের প্রাণ নেই। তারা নিষ্প্রাণ। ঠিক আছে। যারা ক্ষমতায় আছে, তাদের যখন ক্ষমতা থাকবে না; তখন মারা পড়লেও আমরা বিচার চাইবো না। হিসেব শোধবোধ!
আমরা তো এভাবেই ভাবি। অথবা আমাদের ভাবতে বাধ্য করা হয়। অথবা আমরা ভাবি ঠিকই, কিন্তু প্রকাশ করি না। নাকি করতে পারি না?
তনুকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। আগের বাক্যটা আবার পড়ুন। তনুর জায়গায় নিজের প্রেমিকাকে ভাবুন। স্ত্রীকে ভাবুন। ছোট বোনটাকে ভাবুন। মায়ের মতো আদর করে বড় করা বড় বোনের কথা চিন্তা করুন। কিংবা মায়ের মুখটাই ভাবুন। চোখ বন্ধ করে তাদের রক্তাক্ত মৃতদেহটা চিন্তা করুন। রক্তে আগুন জ্বলে?
এবার অন্য একটা কথা ভাবুন, তনুই কি ধর্ষণ ও হত্যার শিকার প্রথম নারী? তার আগে কতো তনু এভাবে আড়ালে চলে গেছে। আমাদের অভিশাপ দিয়ে গেছে। সেই অভিশাপ থেকে মুক্তি পেতে দরকার বিচারহীনতার বিরুদ্ধে গণআন্দোলন। আমি সেই আন্দোলনে যেতে চাই।
আমরা যদি বিচারহীনতা দূর করতে পারি, তনু আমাদের ভাই ডাকবে। তনু চিৎকার কেঁদে উঠবে স্বর্গের উদ্যান থেকে, বলবে, আমার মৃত্যু চাই। যে মৃত্যু মানুষের বিবেককে জাগিয়ে তুলেছে, সেই মৃত্যু আমি কোটিবার চাই।
তনুর এই প্রশান্তির চিৎকার শুনতে আমি বিচারহীনতার ধ্বংস চাই। তনুর আগে অন্যায়ভাবে বিচারহীনতায় থাকা সব নির্যাতিতের পাশে আমি দাঁড়াতে চাই। আমরা সবাই নিশ্চয় তাই চাই। আগের বিচারগুলো হলে তনুর এই পরিণতি হতো না। প্রতিটি অন্যায়ই সমান ক্ষতিকর। আমি প্রতিটি অন্যায়ের বিচার চাই।
আমি তনু হত্যার বিচার চাই। আমি প্রতিটি ধর্ষণের বিচার চাই। আত্মা তাতেই শান্তি পাবে। প্রশান্তি পাবে। বিচারহীনতা দূর না করলে তনুদের মৃতদেহ পঁচবে, গলবে এবং আরো আরো তনু ধর্ষিতা হবে, মারা পড়বে। সেই তালিকায় একদিন ঢুকে পড়বে আমার বোন, প্রেমিকা অথব স্ত্রী। সেই করুণ পরিণতির আগে চলুন তনু হত্যার বিচার চাই, সঙ্গে বিচারহীনতার সমাপ্তি চাই। প্রশাসনকে বলতে বাধ্য করি, প্রতিটি ধর্ষণের বিচার হবে ২৪ ঘণ্টায়। জনগণ চাইলে সব সম্ভব। সবই সম্ভব।
বিকেল চারটায় আমি শাহবাগে থাকবো। চিৎকার করে বিচার চাইবো তনু হত্যার। কিন্তু কেনো? শুধু তনুই কি পিশাচের পৈশাচিক লোভের প্রথম ও একমাত্র শিকার? আমি কেনো শুধু তনু হত্যার বিচার চাইবো?
আমি চাইবো আসলে বিচারহীনতার ধ্বংস। এই অসভ্য সংস্কৃতিই আমাদের প্রতিদিন গিলে খাচ্ছে। আমাদের অনেক অর্থ নেই। আমাদের অনেক প্রভাব-প্রতিপত্তি নেই। আমাদের ঢাকা শহরটা পৃথিবীর নোংড়াতম শহরের একটা। আমরা পৃথিবীর অসুখীতম রাষ্ট্রের তালিকায় উপরের দিকে আছি। কেনো আছি? কারণ আমাদের এখানে বিচারহীনতা আছে। যা মূলত অসভ্যতা। যা সমাজের প্রতিটি স্তরে সৃষ্টি করছে একদল অসভ্যকে।
এতো এতো না থাকা; তারপরও কিন্তু আমাদের সামনে চলা থেমে নেই। আমাদের মাথাপিছু আয় বেড়েছে। আমাদের শিক্ষার হার বেড়েছে। আমাদের স্যানিটেশন ব্যবস্থা অন্য দেশগুলোর জন্য অনুপ্রেরণাদায়ক। ক্রিকেটে আমরা বিশ্বের বড় দলগুলোকে টক্কর দিচ্ছি। এই সব উন্নতির খবর অন্ধকারে পড়ে যায় বিচারহীনতার অসভ্যতায়।
সাগর- রুনি হত্যার বিচারের কী হবে? ইলিয়াস আলির গুমের উত্তর কে দিবে? ওহ, উনি তো রাজনীতি করতেন, তার বিচার চাইছি কেনো! তার চেয়ে বড় কথা তার দল তো ক্ষমতায় নেই। ক্ষমতা না থাকা রাজনীতি করা মানুষরা তো পশু। তারা মরলে, গুম হলে কষ্ট হয় না। তাদের প্রাণ নেই। তারা নিষ্প্রাণ। ঠিক আছে। যারা ক্ষমতায় আছে, তাদের যখন ক্ষমতা থাকবে না; তখন মারা পড়লেও আমরা বিচার চাইবো না। হিসেব শোধবোধ!
আমরা তো এভাবেই ভাবি। অথবা আমাদের ভাবতে বাধ্য করা হয়। অথবা আমরা ভাবি ঠিকই, কিন্তু প্রকাশ করি না। নাকি করতে পারি না?
তনুকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। আগের বাক্যটা আবার পড়ুন। তনুর জায়গায় নিজের প্রেমিকাকে ভাবুন। স্ত্রীকে ভাবুন। ছোট বোনটাকে ভাবুন। মায়ের মতো আদর করে বড় করা বড় বোনের কথা চিন্তা করুন। কিংবা মায়ের মুখটাই ভাবুন। চোখ বন্ধ করে তাদের রক্তাক্ত মৃতদেহটা চিন্তা করুন। রক্তে আগুন জ্বলে?
এবার অন্য একটা কথা ভাবুন, তনুই কি ধর্ষণ ও হত্যার শিকার প্রথম নারী? তার আগে কতো তনু এভাবে আড়ালে চলে গেছে। আমাদের অভিশাপ দিয়ে গেছে। সেই অভিশাপ থেকে মুক্তি পেতে দরকার বিচারহীনতার বিরুদ্ধে গণআন্দোলন। আমি সেই আন্দোলনে যেতে চাই।
আমরা যদি বিচারহীনতা দূর করতে পারি, তনু আমাদের ভাই ডাকবে। তনু চিৎকার কেঁদে উঠবে স্বর্গের উদ্যান থেকে, বলবে, আমার মৃত্যু চাই। যে মৃত্যু মানুষের বিবেককে জাগিয়ে তুলেছে, সেই মৃত্যু আমি কোটিবার চাই।
তনুর এই প্রশান্তির চিৎকার শুনতে আমি বিচারহীনতার ধ্বংস চাই। তনুর আগে অন্যায়ভাবে বিচারহীনতায় থাকা সব নির্যাতিতের পাশে আমি দাঁড়াতে চাই। আমরা সবাই নিশ্চয় তাই চাই। আগের বিচারগুলো হলে তনুর এই পরিণতি হতো না। প্রতিটি অন্যায়ই সমান ক্ষতিকর। আমি প্রতিটি অন্যায়ের বিচার চাই।
আমি তনু হত্যার বিচার চাই। আমি প্রতিটি ধর্ষণের বিচার চাই। আত্মা তাতেই শান্তি পাবে। প্রশান্তি পাবে। বিচারহীনতা দূর না করলে তনুদের মৃতদেহ পঁচবে, গলবে এবং আরো আরো তনু ধর্ষিতা হবে, মারা পড়বে। সেই তালিকায় একদিন ঢুকে পড়বে আমার বোন, প্রেমিকা অথব স্ত্রী। সেই করুণ পরিণতির আগে চলুন তনু হত্যার বিচার চাই, সঙ্গে বিচারহীনতার সমাপ্তি চাই। প্রশাসনকে বলতে বাধ্য করি, প্রতিটি ধর্ষণের বিচার হবে ২৪ ঘণ্টায়। জনগণ চাইলে সব সম্ভব। সবই সম্ভব।
Comments
Post a Comment