একটা সময় মনে হতো আমার ভিতরে একজন লেখক বাস করে। কিন্তু ভাবনাটা দিনে দিনে বদলে গেছে। লেখকের মতো কেউ হয়তো সত্যিই বাস করে। কিংবা একজন লেখক হতে চাওয়া মানুষ বাস করে, যে কখনো লেখক হতে পারবে না। যার আসলে লেখক হওয়ার কোনো ক্ষমতাই নাই।
কিন্তু তুমুল বৃষ্টির দিনে আমি আমার ভিতরটা নড়ে উঠতে দেখি। টের পাই কিছু একটা নড়াচড়া করছে আমার অস্তিত্বজুড়ে। যা আমাকে কলম ধরতে বাধ্য করে। কাগজ খুঁজে নিতে তাড়া দেয়। যা আমাকে কিবোর্ডের সামনে এনে বসায়। চোখের সামনে মেলে ধরে ওয়ার্ডের সাদা পৃষ্ঠা।
মেঘলা আকাশ আর বৃষ্টির দিনে, আমি আর আমি থাকতে পারি না। কিছু একটা লেখার তাড়ায় মাথাটা পাগল হয়ে উঠে। কিছু লেখতে হবে, লেখতেই হবে।
কিন্তু আমি কী লেখবো! আমার জ্ঞান অত্যন্ত সীমিত। আমার কলম দীন। এই আমি কী লেখতে পারি? উত্তর খুঁজতে খুঁজতেই সাদা পৃষ্ঠারা ভরে উঠতে থাকে। তাতে হয়তো অর্থবোধক কিংবা কারো কাজে লাগবে, এমন কোনো লেখা আসে না। তবে আসে। কিছু একটা আসে।
সেই কিছু একটাতে জলছাপের মতো ভেসে উঠো তুমি- আমার চিরদিনের হাহাকার। তুমি এখন নয় হাজার কিলোমিটার দূরে থাকো। একদিন খুব সম্ভবত ভুল করে আমাকে কলে দিয়ে ফেলেছিলে। নম্বরটা মুছে দিবো বলেছিলাম। পারিনি। স্টোর করে রেখেছি।
হঠাৎ বৃষ্টি নেমে এলে নম্বরটা খুঁজে বের করি। বারবার ইচ্ছে করে একটা কল দেই। ঘুমে-জাগরণে প্রতিটি মুহূর্তে যার কণ্ঠ শুনি, তাকে একটাবার কল করার জন্য পাগল হয়ে যাই। এই এখন যেমন, কণ্ঠটা শোনার জন্য পাগল পাগল লাগছিলো। কিন্তু তুমি চাও না সেটা। তাই কল করা হলো না। পাগলামির ঘোর কাটাতে কিবোর্ডে বসলাম।
শেষবার যখন দেখা হলো, তখন সন্ধ্যা নেমে এসেছে। ফার্নিচারের দোকানে দরদাম করছিলে তুমি। দূর থেকে চোখ গেলো তোমার দিকে। ফুটপাথ দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে আমি কখনো দোকানের দিকে তাকাই না। সে দিন চোখ গেলো। গেলো তো গেলো তোমার চোখেই গেলো!
মুহূর্তের জন্য আমি প্রায় পাথর হয়ে গেলাম। মস্তিষ্কশূন্য হয়ে গেলাম। তারপরও টের পেলাম, আমি একটু হেসে উঠেছি। আমার থেকে পাঁচ কদম দূরে তোমার ঠোঁটেও ঝুলে পড়ছিলো একটু হাসি। আমার স্পষ্ট মনে আছে।
ওটাই কি আমাদের শেষ দেখা? তখন তো আমরা আর আমরা নই। তখন তুমি একজন। আমিও আরেকজন। তখন তো পরস্পরের কাছে আমরা আগন্তুক। সে হিসেব ওটা আমাদের শেষ দেখা নয়। তবে কোনটা শেষ দেখা? ফুডকোর্টে যে কয়েক মুহূর্তের জন্য আমাদের চোখাচোখি হয়েছিলো, সেটা শেষ দেখা? তখনও আমরা আমাদের আর চিনি না!
তবে? ২১ ফেব্রুয়ারির সন্ধ্যায় বান্ধবীর সঙ্গে তুমি বাসের অপেক্ষায় ছিলে, আসাদগেটে। সেটাই শেষ দেখা? নাহ! আমরা তো আলোক বর্ষের মতো দূরত্বে চলে গেছি তারও।
তোমার আমার শেষ দেখা ছিলো ২৪ জুন, ২০১২, রোববার, সায়েদাবাদ। ঠিক না? সে দিন কিন্তু বৃষ্টি হচ্ছিলো। মহাখালি থেকে সিএনজিতে আমরা সায়েদাবাদ যাচ্ছিলাম। যাবার পথেও খুব বৃষ্টি। তোমাকে গাড়িতে উঠিয়ে দিলাম। তখনও বৃষ্টি। গাড়িতে তোমাকে রেখে এসে যাত্রী ছাউনিতে দাঁড়ালাম, তোমাকে চলে গেলো বাসটা। তখনও বৃষ্টি।
আমি জানতাম না, তখনই তোমাকে শেষবার দেখে ফেলেছি আমি। জীবনে আর যতোবারই আমাদের দেখা হবে, আমরা তখন আসলে আমরা থাকবো না। আমি জানতাম না। জানলে তোমাকে যেতে দিতাম না। হয়তো ধরে রাখতাম। নয়তো, তোমার সঙ্গে তোমার ওই বাসে করেই চলে যেতাম। ঠিক যেখানে যেতাম, যেখানে তুমি যাও।
এই মুহূর্তে বাইরে বৃষ্টি হচ্ছে। পান্থপথের বৃষ্টির সঙ্গে নিউ সাউথ ওয়েলসের বৃষ্টির কোনো মিল নাই বোধহয়। আছে কি?
জানো, তোমার সঙ্গে এমনিই দেখা করতে ইচ্ছে করে। জানি, তোমার হাত এখন অন্য কারো হাতের মুঠোয় থাকে। তবুও আমার ইচ্ছে করে দেখা করতে। হাত ধরবো না। চুল ছুঁবো না। আর কিছুও না। তবুও দেখা করতে ইচ্ছে করে।
অথচ আগে জেদি ছিলাম আমি! সাপ মরে যাবার পর সোজা হয়ে যায়। আমারও সে রকম কিছু হলো? আমি কি মরে গেছি? না হলে, এ রকম সহজ-সরল ও নরম হলাম কীভাবে! আমি প্রচণ্ড জেদি ছিলাম। আমি তো জোর করে ধরতাম তোমাকে। জোর করে ছুঁয়ে দিতাম হাত। ঘ্রাণ নিতাম চুলের।
শেষবার যখন একসঙ্গে আমরা সিএনজিতে ছিলাম, কী এক অদ্ভুত কারণে তোমার হাতটা আমার হাতে ছিলো না। অথচ অন্যান্য সময় কিন্তু থাকতো। তাই না? আচ্ছা, তুমি বাসে চড়ে চলে যাওয়ার আগেই কি প্রকৃতি আমাদের বিচ্ছেদের ছবিটা দেখে ফেলেছিলো?
তুমি ওই রকমভাবে চলে যাবার পর নিজের ভুলগুলো বুঝতে পেরেছি। আমি কতোটা ছোট ছিলাম টের পেয়েছি। এবং আগের চেয়ে আরো বেশি পাগল হয়ে তোমাকে ফিরে পেতে চেয়েছি। কিন্তু ততোদিনে আমার নিয়তি বদলে গেছে। তোমাকে আমার সঙ্গে দেখতে চাননি সৃষ্টিকর্তা। তিনি আমার আর তোমার মধ্যে এঁকে দিয়েছেন এক সহস্র কোটি আলোকবর্ষের দূরত্বের সমান রেখা। আমি আর কোনো দিন তোমাকে ছুঁতে পারিনি। তোমাকে দূরে থাক, তোমার ছায়ার কাছেও যেতে পারিনি। কখনো কী পারবো?
তুমি থাকার সময়েও এটা-ওটা লেখতাম। তোমাকে শোনাতাম। তোমার কাছে চিঠি লেখতাম। সাদা কাগজে, সবুজ কালিতে। তখনও আমার মনে হতো সত্যিই আমার ভিতরে একজন লেখক আছে। একজন অসম্পূর্ণ কবি আছে। ভাবতাম একদিন আমি বড় লেখক হবো। তুমি চলে যাওয়ার পরও ভাবনাটা ছিলো। কিন্তু এখন আর নেই।
তারপরও দেখে একটা কল করার বাসনা দূর করতে বসে কতো কতো শব্দ লেখে ফেললাম! আসলে কিছু না জানলেও, জ্ঞানের সীমাবদ্ধতা স্বীকার করেও আমি একটা ব্যাপার জানি। আমার জানা ব্যাপারটা তুমি- আমার অনন্ত হাহাকার। তোমাকে নিয়ে লিখতে গেলে, আমি বহু পৃষ্ঠা শেষ করে ফেলতে পারবো।
তাই আজ থামি। এভাবে লেখতে থাকলে তুমি খুব বিরক্ত হয়ে পড়বে। আমার দেয়া, হাতে লেখা চিঠিগুলো হয়তো তুমি পড়তে। হয়তো বুকেও ছোঁয়াতে। কিন্তু কিবোর্ডে লেখা এই অক্ষর বা শব্দগুলোকে হয়তো তোমার নিজের কিছু মনে হবে না! আজ তাই থামলাম। বাইরে বৃষ্টি হচ্ছে। তবুও থামলা। আবার বৃষ্টিতে, এভাবে আবার লেখবো। লেখবো।
কিন্তু তুমুল বৃষ্টির দিনে আমি আমার ভিতরটা নড়ে উঠতে দেখি। টের পাই কিছু একটা নড়াচড়া করছে আমার অস্তিত্বজুড়ে। যা আমাকে কলম ধরতে বাধ্য করে। কাগজ খুঁজে নিতে তাড়া দেয়। যা আমাকে কিবোর্ডের সামনে এনে বসায়। চোখের সামনে মেলে ধরে ওয়ার্ডের সাদা পৃষ্ঠা।
মেঘলা আকাশ আর বৃষ্টির দিনে, আমি আর আমি থাকতে পারি না। কিছু একটা লেখার তাড়ায় মাথাটা পাগল হয়ে উঠে। কিছু লেখতে হবে, লেখতেই হবে।
কিন্তু আমি কী লেখবো! আমার জ্ঞান অত্যন্ত সীমিত। আমার কলম দীন। এই আমি কী লেখতে পারি? উত্তর খুঁজতে খুঁজতেই সাদা পৃষ্ঠারা ভরে উঠতে থাকে। তাতে হয়তো অর্থবোধক কিংবা কারো কাজে লাগবে, এমন কোনো লেখা আসে না। তবে আসে। কিছু একটা আসে।
সেই কিছু একটাতে জলছাপের মতো ভেসে উঠো তুমি- আমার চিরদিনের হাহাকার। তুমি এখন নয় হাজার কিলোমিটার দূরে থাকো। একদিন খুব সম্ভবত ভুল করে আমাকে কলে দিয়ে ফেলেছিলে। নম্বরটা মুছে দিবো বলেছিলাম। পারিনি। স্টোর করে রেখেছি।
হঠাৎ বৃষ্টি নেমে এলে নম্বরটা খুঁজে বের করি। বারবার ইচ্ছে করে একটা কল দেই। ঘুমে-জাগরণে প্রতিটি মুহূর্তে যার কণ্ঠ শুনি, তাকে একটাবার কল করার জন্য পাগল হয়ে যাই। এই এখন যেমন, কণ্ঠটা শোনার জন্য পাগল পাগল লাগছিলো। কিন্তু তুমি চাও না সেটা। তাই কল করা হলো না। পাগলামির ঘোর কাটাতে কিবোর্ডে বসলাম।
শেষবার যখন দেখা হলো, তখন সন্ধ্যা নেমে এসেছে। ফার্নিচারের দোকানে দরদাম করছিলে তুমি। দূর থেকে চোখ গেলো তোমার দিকে। ফুটপাথ দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে আমি কখনো দোকানের দিকে তাকাই না। সে দিন চোখ গেলো। গেলো তো গেলো তোমার চোখেই গেলো!
মুহূর্তের জন্য আমি প্রায় পাথর হয়ে গেলাম। মস্তিষ্কশূন্য হয়ে গেলাম। তারপরও টের পেলাম, আমি একটু হেসে উঠেছি। আমার থেকে পাঁচ কদম দূরে তোমার ঠোঁটেও ঝুলে পড়ছিলো একটু হাসি। আমার স্পষ্ট মনে আছে।
ওটাই কি আমাদের শেষ দেখা? তখন তো আমরা আর আমরা নই। তখন তুমি একজন। আমিও আরেকজন। তখন তো পরস্পরের কাছে আমরা আগন্তুক। সে হিসেব ওটা আমাদের শেষ দেখা নয়। তবে কোনটা শেষ দেখা? ফুডকোর্টে যে কয়েক মুহূর্তের জন্য আমাদের চোখাচোখি হয়েছিলো, সেটা শেষ দেখা? তখনও আমরা আমাদের আর চিনি না!
তবে? ২১ ফেব্রুয়ারির সন্ধ্যায় বান্ধবীর সঙ্গে তুমি বাসের অপেক্ষায় ছিলে, আসাদগেটে। সেটাই শেষ দেখা? নাহ! আমরা তো আলোক বর্ষের মতো দূরত্বে চলে গেছি তারও।
তোমার আমার শেষ দেখা ছিলো ২৪ জুন, ২০১২, রোববার, সায়েদাবাদ। ঠিক না? সে দিন কিন্তু বৃষ্টি হচ্ছিলো। মহাখালি থেকে সিএনজিতে আমরা সায়েদাবাদ যাচ্ছিলাম। যাবার পথেও খুব বৃষ্টি। তোমাকে গাড়িতে উঠিয়ে দিলাম। তখনও বৃষ্টি। গাড়িতে তোমাকে রেখে এসে যাত্রী ছাউনিতে দাঁড়ালাম, তোমাকে চলে গেলো বাসটা। তখনও বৃষ্টি।
আমি জানতাম না, তখনই তোমাকে শেষবার দেখে ফেলেছি আমি। জীবনে আর যতোবারই আমাদের দেখা হবে, আমরা তখন আসলে আমরা থাকবো না। আমি জানতাম না। জানলে তোমাকে যেতে দিতাম না। হয়তো ধরে রাখতাম। নয়তো, তোমার সঙ্গে তোমার ওই বাসে করেই চলে যেতাম। ঠিক যেখানে যেতাম, যেখানে তুমি যাও।
এই মুহূর্তে বাইরে বৃষ্টি হচ্ছে। পান্থপথের বৃষ্টির সঙ্গে নিউ সাউথ ওয়েলসের বৃষ্টির কোনো মিল নাই বোধহয়। আছে কি?
জানো, তোমার সঙ্গে এমনিই দেখা করতে ইচ্ছে করে। জানি, তোমার হাত এখন অন্য কারো হাতের মুঠোয় থাকে। তবুও আমার ইচ্ছে করে দেখা করতে। হাত ধরবো না। চুল ছুঁবো না। আর কিছুও না। তবুও দেখা করতে ইচ্ছে করে।
অথচ আগে জেদি ছিলাম আমি! সাপ মরে যাবার পর সোজা হয়ে যায়। আমারও সে রকম কিছু হলো? আমি কি মরে গেছি? না হলে, এ রকম সহজ-সরল ও নরম হলাম কীভাবে! আমি প্রচণ্ড জেদি ছিলাম। আমি তো জোর করে ধরতাম তোমাকে। জোর করে ছুঁয়ে দিতাম হাত। ঘ্রাণ নিতাম চুলের।
শেষবার যখন একসঙ্গে আমরা সিএনজিতে ছিলাম, কী এক অদ্ভুত কারণে তোমার হাতটা আমার হাতে ছিলো না। অথচ অন্যান্য সময় কিন্তু থাকতো। তাই না? আচ্ছা, তুমি বাসে চড়ে চলে যাওয়ার আগেই কি প্রকৃতি আমাদের বিচ্ছেদের ছবিটা দেখে ফেলেছিলো?
তুমি ওই রকমভাবে চলে যাবার পর নিজের ভুলগুলো বুঝতে পেরেছি। আমি কতোটা ছোট ছিলাম টের পেয়েছি। এবং আগের চেয়ে আরো বেশি পাগল হয়ে তোমাকে ফিরে পেতে চেয়েছি। কিন্তু ততোদিনে আমার নিয়তি বদলে গেছে। তোমাকে আমার সঙ্গে দেখতে চাননি সৃষ্টিকর্তা। তিনি আমার আর তোমার মধ্যে এঁকে দিয়েছেন এক সহস্র কোটি আলোকবর্ষের দূরত্বের সমান রেখা। আমি আর কোনো দিন তোমাকে ছুঁতে পারিনি। তোমাকে দূরে থাক, তোমার ছায়ার কাছেও যেতে পারিনি। কখনো কী পারবো?
তুমি থাকার সময়েও এটা-ওটা লেখতাম। তোমাকে শোনাতাম। তোমার কাছে চিঠি লেখতাম। সাদা কাগজে, সবুজ কালিতে। তখনও আমার মনে হতো সত্যিই আমার ভিতরে একজন লেখক আছে। একজন অসম্পূর্ণ কবি আছে। ভাবতাম একদিন আমি বড় লেখক হবো। তুমি চলে যাওয়ার পরও ভাবনাটা ছিলো। কিন্তু এখন আর নেই।
তারপরও দেখে একটা কল করার বাসনা দূর করতে বসে কতো কতো শব্দ লেখে ফেললাম! আসলে কিছু না জানলেও, জ্ঞানের সীমাবদ্ধতা স্বীকার করেও আমি একটা ব্যাপার জানি। আমার জানা ব্যাপারটা তুমি- আমার অনন্ত হাহাকার। তোমাকে নিয়ে লিখতে গেলে, আমি বহু পৃষ্ঠা শেষ করে ফেলতে পারবো।
তাই আজ থামি। এভাবে লেখতে থাকলে তুমি খুব বিরক্ত হয়ে পড়বে। আমার দেয়া, হাতে লেখা চিঠিগুলো হয়তো তুমি পড়তে। হয়তো বুকেও ছোঁয়াতে। কিন্তু কিবোর্ডে লেখা এই অক্ষর বা শব্দগুলোকে হয়তো তোমার নিজের কিছু মনে হবে না! আজ তাই থামলাম। বাইরে বৃষ্টি হচ্ছে। তবুও থামলা। আবার বৃষ্টিতে, এভাবে আবার লেখবো। লেখবো।
অনুভূতিগুলো যে অনেক গভীর থেকে গভীরের তা লেখাটা পড়েই বুঝা যায়।
ReplyDeleteওহ.. এই আর কি! মাথা ব্যথা কমানোর লেখা। বিশেষ কিছু না।
Delete