মিরপুর, ঢাকা
গত কয়েকটা দিন কিভাবে যেনো চলে গেলো। টেরই পেলাম না কিছু। নানা মাত্রিক বিভেদের দেশে আমিও জড়িয়ে পড়েছিলাম বিভেদের জালে। জড়ি পড়েছিলাম- নাকি জড়িয়ে গেছি? সে যাই হোক, নিজেকে ইদানিং ভয়ানক অপরাধী মনে হয়। কারণটা হলো, গত কয়েকটা দিনে তোমাকে নিয়ে আমার একটা লাইনও লেখা হয়নি। এমন কি একটা শব্দও নয়! ভাবা যায়!?
জীবন ও জীবিকার তাগিদে এখন কেবল ছুটে চলা। প্রেম বা বিরহ, কোত্থেকে আসে বা কোত্থেকে যায়, এ সব আর খেয়াল করা হয় না। মাঝে মাঝে হয়তো খুব মনোযোগ দিয়ে খেয়াল করতে বসি। জোর করে খেয়াল করতেই, কখন তোমাকে মনে পড়া উচিত, কখন তোমাকে ভেবে জানলার গ্রিলে মাথা ঠেকিয়ে আমার আকাশ দেখার কথা; কিন্তু জোর করে হয় না।
ভাবতে বসলে তোমার মুখটা আর মনে পড়ে না। সব কিছু ঝাপসা লাগে। যেমন চশমাটা খুলে ফেললে আমার চোখে এখন সব ঝাপসা। পাঁচ ফুট দূরের মানুষের মুখটাও আমার চোখে জড়িয়ে যায়।
চোখের দশা হয়েছে মনেরও। তোমার মুখটা আর দেখা যায় না। কিছুদিন আগেও, একটু শক্ত করে চোখ বুজে, একটু বেশি মনোযোগী হয়ে উঠলে তোমার মুখটা ভেসে উঠতো মানসপটে। কিন্তু এখন আর হচ্ছে না।
পাঁচ বছর আগে, ২০১২-এর ডিসেম্বরে আমি যখন তোমাকে হারিয়ে দিশাহারা অবস্থায় পাগল হয়ে যাচ্ছি প্রায়, সে সময়ে, কে যেনো বলে দিলো, অপেক্ষা করো সব ঠিক হয়ে যাবে। সে কী বুঝিয়েছিলো জানি না, আমি বুঝলাম, অপেক্ষা করলে সব ঠিক হবে মানে, তুমি মনে হয় ফিরে আসবে। আবার, আরো একটা বার।
আমি অপক্ষায় বসলাম। এটাকে কি আসলে অপেক্ষা বলে? নাকি এটা আসলে প্রতীক্ষা? যাই হোক, আমি অপেক্ষায় বা প্রতীক্ষায় বসে থাকলাম, সময় যেতে লাগলো। এক, দুই তিন করে এখন পাঁচ পাঁচটা বছর গেলো, এই পাঁচ বছরে একটাবারের জন্যও আমার জীবনে তুমি নাই! তারপরও আমি কী রকম বেঁচে আছি! কী বিস্ময়কর ব্যাপার বলো!
সব ঠিক হয়ে যাবে বলে, সে কি এই কথাটাই বলছিলো? এই যে আমি তোমাকে ভুলে উঠবো; চেষ্টা করেও তোমার মুখটা মনে করতে পারবো না? হয়তো এ কথাটাই বলেছিলো।
কিন্তু আসলেই্ কি সব ঠিক হয়ে গেছে? সব যদি ঠিকই হবে, তাহলে তোমাকে নিয়ে কিছু লিখতে না পেরে আমার নিজেকে এমন বিপন্ন লাগে কেনো? অপরাধী মনে হয় কেনো? তোমার জন্য সুতীব্র পাগলামি থেকে হয়তো এখনো বের হতে পারিনি। কে জানে কোনোদিন পারবো কিনা। শরীরের মতো মনও তো বিকলাঙ্গ হয়, আমার মনটার মনে হয় তাই হয়েছে।
যা হোক, তোমার জন্য যা লিখতে চাই, এ লেখাটা তা নয়। তারপরও একটু লিখলাম, এটা একটা শান্তি। তোমার না থাকার দিনগুলোতে আমার অবশ্য তোমাকে নিয়ে দুইটা লাইন লেখার চেয়ে আর বেশি করার নাই।
গত কয়েকটা দিন কিভাবে যেনো চলে গেলো। টেরই পেলাম না কিছু। নানা মাত্রিক বিভেদের দেশে আমিও জড়িয়ে পড়েছিলাম বিভেদের জালে। জড়ি পড়েছিলাম- নাকি জড়িয়ে গেছি? সে যাই হোক, নিজেকে ইদানিং ভয়ানক অপরাধী মনে হয়। কারণটা হলো, গত কয়েকটা দিনে তোমাকে নিয়ে আমার একটা লাইনও লেখা হয়নি। এমন কি একটা শব্দও নয়! ভাবা যায়!?
জীবন ও জীবিকার তাগিদে এখন কেবল ছুটে চলা। প্রেম বা বিরহ, কোত্থেকে আসে বা কোত্থেকে যায়, এ সব আর খেয়াল করা হয় না। মাঝে মাঝে হয়তো খুব মনোযোগ দিয়ে খেয়াল করতে বসি। জোর করে খেয়াল করতেই, কখন তোমাকে মনে পড়া উচিত, কখন তোমাকে ভেবে জানলার গ্রিলে মাথা ঠেকিয়ে আমার আকাশ দেখার কথা; কিন্তু জোর করে হয় না।
ভাবতে বসলে তোমার মুখটা আর মনে পড়ে না। সব কিছু ঝাপসা লাগে। যেমন চশমাটা খুলে ফেললে আমার চোখে এখন সব ঝাপসা। পাঁচ ফুট দূরের মানুষের মুখটাও আমার চোখে জড়িয়ে যায়।
চোখের দশা হয়েছে মনেরও। তোমার মুখটা আর দেখা যায় না। কিছুদিন আগেও, একটু শক্ত করে চোখ বুজে, একটু বেশি মনোযোগী হয়ে উঠলে তোমার মুখটা ভেসে উঠতো মানসপটে। কিন্তু এখন আর হচ্ছে না।
পাঁচ বছর আগে, ২০১২-এর ডিসেম্বরে আমি যখন তোমাকে হারিয়ে দিশাহারা অবস্থায় পাগল হয়ে যাচ্ছি প্রায়, সে সময়ে, কে যেনো বলে দিলো, অপেক্ষা করো সব ঠিক হয়ে যাবে। সে কী বুঝিয়েছিলো জানি না, আমি বুঝলাম, অপেক্ষা করলে সব ঠিক হবে মানে, তুমি মনে হয় ফিরে আসবে। আবার, আরো একটা বার।
আমি অপক্ষায় বসলাম। এটাকে কি আসলে অপেক্ষা বলে? নাকি এটা আসলে প্রতীক্ষা? যাই হোক, আমি অপেক্ষায় বা প্রতীক্ষায় বসে থাকলাম, সময় যেতে লাগলো। এক, দুই তিন করে এখন পাঁচ পাঁচটা বছর গেলো, এই পাঁচ বছরে একটাবারের জন্যও আমার জীবনে তুমি নাই! তারপরও আমি কী রকম বেঁচে আছি! কী বিস্ময়কর ব্যাপার বলো!
সব ঠিক হয়ে যাবে বলে, সে কি এই কথাটাই বলছিলো? এই যে আমি তোমাকে ভুলে উঠবো; চেষ্টা করেও তোমার মুখটা মনে করতে পারবো না? হয়তো এ কথাটাই বলেছিলো।
কিন্তু আসলেই্ কি সব ঠিক হয়ে গেছে? সব যদি ঠিকই হবে, তাহলে তোমাকে নিয়ে কিছু লিখতে না পেরে আমার নিজেকে এমন বিপন্ন লাগে কেনো? অপরাধী মনে হয় কেনো? তোমার জন্য সুতীব্র পাগলামি থেকে হয়তো এখনো বের হতে পারিনি। কে জানে কোনোদিন পারবো কিনা। শরীরের মতো মনও তো বিকলাঙ্গ হয়, আমার মনটার মনে হয় তাই হয়েছে।
যা হোক, তোমার জন্য যা লিখতে চাই, এ লেখাটা তা নয়। তারপরও একটু লিখলাম, এটা একটা শান্তি। তোমার না থাকার দিনগুলোতে আমার অবশ্য তোমাকে নিয়ে দুইটা লাইন লেখার চেয়ে আর বেশি করার নাই।
Comments
Post a Comment